Main Content

মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে যোগদান করেছেন হকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ

News Image
মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে যোগদান করেছেন হকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে বুধবার (২ অক্টোবর) যোগদান করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজি এন্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোঃ শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ১ অক্টোবর হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয় অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ-কে।

বুধবার সকাল ১১ টায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যোগদান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন নতুন উপাচার্য। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যেহেতু আমাকে মহান দায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা ভালোভাবে পালনের চেষ্টা করবো। সকল শহিদরা মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার যে চেতনা নিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। শিক্ষা ও গবেষণায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে’।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ ১৯৯৩ এবং ১৯৯৫ সালে যথাক্রমে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ অর্জন করেন।  তিনি ২০০৩ সালে ভেটেরিনারি মেডিসিনে ডিসটিংকশনসহ ডিগ্রি অর্জন করেন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে একাডেমিক ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে। ২০১২ সালের মধ্যে তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং একাডেমিয়া ও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অব্যাহত রাখেন। ২০১৫ সালে তিনি পূর্ণ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

এপিডেমিওলজির প্রতি আগ্রহের কারণে তিনি বিদেশে পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং ২০০৭ সালে নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেক্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এপিডেমিওলজিতে এমএসসি সম্পন্ন করেন। ২০১২ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এপিডেমিওলজিতে পিএইচডি অর্জন করার পর, ২০১৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ডেনমার্কের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে একজন পোস্টডক্টরাল গবেষক হিসেবে কাজ করেন। ২০১৫ সালে তিনি ইমার্জিং ইনফেকশন প্রোগ্রামে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর ইনফেকশাস ডিজিজ বিভাগের সিনিয়র ইন্টারন্যাশনাল ফেলো ছিলেন।

গবেষণায় রয়েছে উনার বিস্তৃত অবদান। তিনি ২৭টি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন এবং কর্মজীবনে প্রায় ৮০টি পিয়ার-রিভিউড গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। উনার এইচ-ইনডেক্স ২০ এবং আই ১০-ইনডেক্স ৩১। উনার গবেষণায় ডেনিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্সি (ইউএসএইড) সহ বিভিন্ন সংস্থার অর্থায়ন রয়েছে। অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি, আমেরিকান সোসাইটি ফর ট্রপিকাল মেডিসিন এন্ড হাইজিন, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এপিডেমিওলজি এন্ড ইকোনমিক্স এবং ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য। তার বৈশ্বিক উপস্থিতি ৪০টিরও বেশি দেশে সম্মেলন এবং বৈজ্ঞানিক সভায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমি ফর সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমি ফর সায়েন্স এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।